কলা কেন বিখ্যাত এথলিটদের কাছে ১ নম্বর ফল
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
অতিপরিচিত এক দারুণ সুস্বাদু ফল কলা আমাদের অনেকেরই প্রিয়। আবার সস্তা ও সহজলভ্য বলে অনেকে একে তুচ্ছতাচ্ছিল্যও করে থাকেন। কিন্তু আপনি এখন যা জানতে যাচ্ছেন, তা জানার পরে আর কখনোই কলাকে ছোট তুচ্ছ ফল হিসেবে দেখবেন না!
কলায় থাকে তিনটি প্রাকৃতিক চিনি – সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ, আরও থাকে প্রচুর ফাইবার যা দেয় শরীরকে যোগান দেয় তাৎক্ষণিক শক্তি। ৯০ মিনিটের কষ্টসাধ্য ব্যায়ামের জন্য শক্তি যোগাতে দুটো কলাই যথেষ্ট! এজন্যই পৃথিবীর বড় বড় এথলিটদের কাছে কলাই হলো ১ নম্বর ফল! কিন্তু কলা কি শুধু শক্তিই যোগায়? না। কলার আরও গুণ আছে!
১। কলায় থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক প্রোটীন, যা শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়। সেরোটোনিন আপনার মনকে রিলাক্স করে, আপনার মুড ভাল করে তোলে, আপনাকে সুখীবোধ করতে সাহায্য করে।
২। কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে এবং এতে লবণ কম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি খুবই ভাল কম্বিনেশান। বলা হয়, পটাশিয়াম আপনার হার্টবিট ঠিক রাখে। অক্সিজেন মস্তিষ্কে নিয়মিত পৌঁছে দেয়, শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে।
৩। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আজ থেকেই কলা খাওয়া শুরু করুন। কলার পুষ্টিকর উপাদান আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করে।
৩। কলায় প্রাকৃতিক এন্টাসিড থাকে। বুক জ্বললে একটা কলা খান।
৫। কলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহ আমাদের দেহের নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।
৬। কলা রক্তের শর্করার পরিমান সঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং সকালের দিকে বমি বমি ভাব কমিয়ে দেয়।
৭। ধূমপান করা ত্যাগ করতে চান? তাহলে প্রতিদিন কলা খান, কারণ কলার ভিটামিন-বি , ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম উপাদান খুব দ্রুত ধূমপান করার অভ্যাস সারিয়ে তোলে।
৮। অনেকে মন খারাপ থাকলে/কাজের অতিরিক্ত চাপ থাকলে নিজের অজান্তেই জাংক ফুড খেতে থাকেন। এরকম চাপে থাকলে আমাদের ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখা প্রয়োজন, যা প্রতি দুই ঘন্টায় একটি কলা খেলে ঠিক রাখা সম্ভব।
৯। গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিনকার খাদ্যাভাসে কলা রাখলে ৪০% স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়!
১০। আপেলের সাথে কলার তুলনা করলে বলতে হয়, এতে আপেলের চাইতে দ্বিগুণ কার্বোহাইড্রেট আছে, তিনগুন ফসফরাস আছে, পাঁচগুণ ভিটামিন এ ও আয়রন আছে, দ্বিগুণ পরিমাণে অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ আছে। আর আছে পটাশিয়াম, যা একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। প্রতিদিন খাদ্যাভাসে কলা রাখুন। আপনার শিশুকেও এই অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল